স্কুলবাস আমদানিতে শুল্ক ছাড়
প্রকাশিত : ২১:২০, ৭ জুন ২০১৮

শিক্ষার্থীদের যাতায়তের জন্য বিশেষায়িত স্কুল বাস আমদানি হলে তাতে শুল্ক ছাড়ের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আজ বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশের দ্বাদশ বাজেট উত্থাপনকালে তিনি এই প্রস্তাব করেন। আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে এ সুবিধা প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, যানজট কমাতে উন্নত দেশগুলোর মতো ঢাকায় স্কুল বাস সংস্কৃতি চালু করতে চায় সরকার। এতে করে যানজটও কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। আর তাই স্কুলবাস আমদানিতে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেন তিনি।
পরিবহন বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজধানীর যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ অতিরিক্ত প্রাইভেট কার। ঢাকায় মাত্র সাত হাজার বাসের বিপরীতে চলে আড়াই লাখ প্রাইভেট কার। অথচ দুইটি প্রাইভাট কার সড়কের যে জায়গা দখল করে তাতে একটি বাসের জায়গা হয়। গড়ে একেকটি বাসে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা থাকে ৪০ জন। আর মুদ্রার উল্টোপিঠে দুইটি প্রাইভেটকারে জায়গা হয় সর্বোচ্চ দশ জন যাত্রীর।
ডেমোক্রেটিক ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি সংগঠনের হিসেবে রাজধানীর সড়কের সক্ষমতার ৭৬ শতাংশ ভোগ করে প্রাইভেট কার। অথচ এ পরিবহনে নগরীর মাত্র আট শতাংশ মানুষ যাতায়ত করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাসা থেকে স্কুল এবং স্কুল থেকে বাসায় যাতায়াতের সময় সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয় প্রাইভেট কার। যানজট নিরসনে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট কারে যাতায়ত বন্ধ করতে হবে। চালু করতে হবে স্কুল বাস।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, অধিকাংশ বিদ্যালয়ে স্কুল বাস নেই। তাই অভিভাবকরা প্রাইভেট গাড়ি ব্যবহার করে সন্তানদের স্কুলে পাঠান। এতে যানজট বাড়ছে। উন্নত দেশের মতো বিশেষায়িত স্কুল বাস চালু হলে যানজট কমবে, যাতায়ত সহজ ও নিরাপদ হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কোনো এজেন্সি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে স্কুল বাস আমদানিতে বিশেষ শুল্ক সুবিধায় আমদানির সুযোগ দেওয়া হবে।
এসি
আরও পড়ুন